ঝাল পুলি পিঠা

উপকরণঃ
১. চালের গুঁড়া ৩ কাপ
২. পুরের জন্য হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ২ কাপ
৩. মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ
৪. পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ২ কাপ
৫. কাঁচা মরিচ কুচি ৪-৫ টি
৬. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
৭. কর্ণফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ
৮. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ
৯. তেল পরিমাণমতো
১০. দারুচিনি ২-৩ টুকরো
১১. এলাচ ৩-৪ টা
১২. পানি পরিমাণমতো
১৩. লবণ পরিমাণমতো

প্রণালীঃ
প্রথমে পুর তৈরি করার জন্য পেঁয়াজ তেলে ভেজে মাংসের কিমা ও সব মসলা দিয়ে ভূনা করে নিন। নামানোর আগে কর্ণফ্লাওয়ার ও গুঁড়া দুধ দেবেন। এবার পানিতে লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে চালের গুঁড়া দিয়ে খামির তৈরি করতে হবে। এই খামির থেকে রুটি তৈরি করে তার ভেতর মাংসের পুর দিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

পিঠা বাড়ি / Pitha Bari

পাশ্চাত্য খাবারের প্রভাবে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো আজ পরিচিতি হারাতে বসেছে। দেশের ঐতিহ্য কে লালন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ধরনের খাবারের স্বাদ পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা অর্থাৎ পিঠাবাড়ি অঙ্গিকারবদ্ধ।

যোগাযোগঃ pithabari.bd@gmail.com

01913951558 (হীরা)

01923837799 (সোহাগ)

শীতের পিঠার রেসিপি।

নকশি পিঠা

উপকরণ : আধা কাপ সেদ্ধ চাল, আধা কাপ ভাজা মুগডাল, ১ টেবিল চামচ ময়দা, বেকিং পাউডার এক চিমটি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো চিনি, ১ টেবিল চামচ তেল, ১টি ডিম। সিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি আধা কাপ।

প্রণালী: ১। আধা কাপ পানি দিয়ে ২ কাপ চিনি ঘন সিরা করুন।

২। সেদ্ধ চাল ভিজিয়ে রেখে গুঁড়ো করুন। মুগ ডাল অল্প পানিতে সেদ্ধ করে বেটে নিন। ময়দার সঙ্গে বেকিং পাউডার মেশান। গুঁড়ো চিনি ও তেল এক সঙ্গে ফেটে চালের গুঁড়ো, ডাল ও ময়দা দিয়ে মলে খামির করুন। প্রয়োজন হলে সামান্য পানি দিয়ে মাখবেন। কামির ৩ ভাগ করে ৪ মিলিমিটার পুরু রুটি বেলুন। খেঁজুর কাঁটা বা চোখা ছুরি দিয়ে বিভিন্ন আকারের পিঠা কাটুন। খেঁজুর কাঁটা দিয়ে পিঠার ওপরে বা কিনারায় কিরিকিরি দাগ টেনে নকশা করুন।

৪। পিঠা ডুবো তেলে ভেজে ২-৩ মিনিট গরম সিরায় ডুবিয়ে রেখে তুলে নিন।


চন্দ্রপুলি

উপকরণ : আধা লিটার দুধ, ২০০ গ্রাম খেঁজুর গুড়, ৩ কাপ নারিকেল কুরানো, ৩ কাপ ময়দা, ১ কাপ চিনি।

প্রণালী: ১। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন এক কাপ করুন। অর্ধেক নারিকেল মিহি করে বেটে নিন। দুধের সঙ্গে চিনি, নারিকেল মেশান। ময়দা দিয়ে কাই তৈরি করে নিন।

২। বাকি নারিকেলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে জ্বাল দিন। চটচটে হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।

৩। ময়দার খামির দিয়ে রুটি বেলে নারিকেলের পুর ভরে বাঁশের চটা বা ছুরি দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারে কাটুন। তেল গরম করে একবারে ৩-৪টি পিঠা ডুবো তেলে ভাজুন।


ভাপা পিঠা

প্রণালী: ১। সেদ্ধ চালের গুঁড়ি মিহি চালনিতে চেলে নিন।

২। গুঁড়িয়ে লবণ মেশান। এমন আন্দাজে পানি ছিটিয়ে মেশান যেন গুঁড়ি ভিজা মনে হয় অথচ দলা না বাঁধে। পানি মেশাবার পরে গুঁড়ি আবার ছেলে নিন।

৩। ভাপা পিঠার পাত্রে (মাটির লোটায়) পানি ফুটান। পিঠার পাত্রের পরিবর্তে অন্য ছোট মুখের হাঁড়িতে ছিদ্র করা মাটির ঢাকনা আটা দিয়ে এঁটে দেয়া হয়।

৪। পিঠার জন্য দুটি ছোট বাটি নিন। বাটিতে গুঁড়ি অল্প অল্প করে ছড়িয়ে দিন। মাঝে দুই চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক রাখুন এবং উপরে চিনা বাদাম ছিটিয়ে দিন। তারপর আবার গুঁড়ি ছিটিয়ে দিয়ে বাটি ভরে গেলে হাত দিয়ে গুঁড়ি সমান করে দিন। চাপবেন না। পাতলা ভিজা কাপড়ের টুকরো দিয়ে পিঠা ঢেকে দিন। বাটির নিচের কাপড় মুঠো করে ধরে বাটি উল্টে ফুটন্ত পানির পাত্রের মুখে বসান। বাটি তুলে ফেলুন। পিঠা কাপড় দিয়ে ঢেকে তার ওপরে ঢাকনা দিন। দু’মিনিট পরে কাপড়সহ পিঠা তুলে দিন। এভাবে সবগুলো পিঠা তৈরি করুন।

উপকরণ: সেদ্ধ চালের গুঁড়ি ৮ কাপ, লবণ গুঁড়ো ২ চা চামচ, চিনা বাদাম মোটাকুচি আধা কাপ, কনডেন্সড মিল্ক আধা কৌটা।


পাটি সাপটা

উপকরণ: দেড় কাপ ময়দা, ২টা ডিম, আধা টিন কনডেন্সড মিল্ক, লবণ পরিমাণ মত, ১ কাপ পানি, ২ টেবিল চামচ চিনি, দেড় কাপ নারিকেল কুরানো অথবা ১ কাপ দুধের ক্ষীর।

প্রণালী: ডিম ফেটে কনডেন্সড্‌ মিল্কের সঙ্গে মেশান। পানি মিশিয়ে ময়দা দিয়ে গোলা করুন। চিনি ও লবণ মেশান। হাতল দেয়া ছোট ফ্রাইং প্যান গরম করে চার ভাগের এক কাপ গোলা দিন। প্যান ঘুরিয়ে গোলা চারদিকে প্যানের সমান করে ছড়িয়ে দিন। পিঠা প্যানের কিনার ছেড়ে আসলে তুলে নিন। সব পিঠা হয়ে গেলে ক্ষীর বা নারিকেল পুর দিয়ে মুড়ে চেপে দিন।